এই বছরের একমাত্র অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে। দ্যা কোয়েস্ট থেকে ছয় হাজার মিটার উচ্চতার চুলু ফার ইস্ট চূড়ায় শীতকালীন এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। শীর্ষে পৌঁছাতে না পারলেও শীতকালীন অভিযানের এমন বাস্তব অভিজ্ঞতা আশা করা যায় অভিযাত্রীদের আরও পরিণত করে গড়ে তুলবে। কোন গাইডের সাহায্য ছাড়া সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ এই ধরনের অভিযান আশা করি আগামী বছরগুলোতে দেশের তরুণদের মাঝে আরও বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
দ্যা কোয়েস্টের অভিযাত্রীদল ফিরে আসার পর পরই দেশে দেশে লক ডাউন শুরু হয়ে যায়। কোভিড-১৯ গ্লোবাল প্যান্ডেমিকের কারণে অন্যান্য সব কিছুর মত পর্বতারোহণও একপ্রকার থমকে যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালের মধ্যে পুরো বছর জুড়ে যাতায়াত স্বাভাবিক না হবার দরুন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই বছর প্রি-মনসুন ও পোস্ট-মনসুন সিজনে বাংলাদেশ থেকে হিমালয়ে কোন অভিযানই সংঘটিত হতে পারেনি। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই এই অবস্থার উন্নতি হবে আর অভিযাত্রীরা আগামী বছর নানা চূড়ায় অভিযানে যেতে পারবে।
● চুলু ফার ইস্ট (৬০৫৯ মিটার)
অবস্থান: অন্নপূর্ণা হিমাল, নেপাল
দল/প্রতিনিধিত্ব- দ্যা কোয়েস্ট
সদস্য: সালেহীন আরশাদী, তাহমিদ রাফিদ, ইন্তিয়াজ মাহমুদ ও সামিউর রহমান।
২৪ ‘গো জায়ান উইন্টার এক্সপেডিশন ২০২০’ শিরোনামে প্রথমবারের মতো হিমালয়ের চুলু ফার-ইস্ট পর্বত অভিযানে গিয়েছিল দ্যা কোয়েস্টের চার সদস্যের একটি দল। কোন গাইড ছাড়া সম্পূর্ণ সেলফ সাপোর্টেড এই শীতকালীন অভিযানে ২১ ফেব্রুয়ারি তারা দুজন পোর্টার সহ হুমদে থেকে রওনা দিয়ে ৩৯৯২ মিটার উচ্চতার ওয়াটারফল ক্যাম্পে পৌঁছান। এখানে এসে খারাপ আবহাওয়া ও অত্যাধিক তুষারপাতে পোর্টাররা বেইজ ক্যাম্প পর্যন্ত যেতে অস্বীকৃতি জানায়। অভিযাত্রীরা সমস্ত মালামাল নিজেরাই বেইজক্যাম্প পর্যন্ত ফেরি করার সিদ্ধান্ত নেন। পর্যায়ক্রমে ৪৩৫৯ মিটার উচ্চতার ইয়াক খারকা ও ৪৪২০ মিটারে আরও দুটি মধ্যবর্তী ক্যাম্প করার পর অবশেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি তারা বেইজক্যাম্প স্থাপন করেন। এরপর ৫০৮৬ মিটার উচ্চতায় তারা ক্যাম্প-১ স্থাপন করেন। পরদিন ৩০ মিটার উচ্চতার মত পথ অতিক্রম করতেই পথে আবহাওয়া খারাপ হয়ে গেলে ৫১০১ মিটার উচ্চতায় তারা আরেকটি ক্যাম্প স্থাপন করতে বাধ্য হন। এই অন্তর্বর্তী ক্যাম্প থেকেই ৪ মার্চ মধ্য রাতে তাহমিদ ও ইন্তিয়াজ মাহমুদ সামিট পুশে বের হন। তারা চুলু ফার ইস্টের কল পর্যন্ত আরোহণ করার পর আবহাওয়া আবার খারাপ হতে শুরু করায় তারা নিচে নেমে যাবার সিদ্ধান্ত নেন।
এই তালিকাটি হয়ত সম্পূর্ণ নয়। এখানে উল্লেখিত হয়নি কিন্তু চলতি বছরে বাংলাদেশী পর্বতারোহীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে এমন কোন অভিযান সম্পর্কে তথ্য থাকলে অদ্রি টিমকে জানানোর অনুরোধ রইল।